প্রসাধনী সামগ্রীর মোড়কে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে এস এ পরিবহন কক্সবাজারের চকরিয়া শাখায় ইয়াবার একটি বড় চালান বুকিং দেয় ইয়াবা কারবারি এক ব্যক্তি। এই খবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেয়ে পাচারের আগমুহূর্তে র‌্যাবের একটি দল সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ইয়াবার সেই বড় চালানটি জব্দ করে।

একইসাথে এসব ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত থাকার দায়ে ইয়াবা কারবারিকেও গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার চকরিয়া থানায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু এবং জব্দকৃত ইয়াবা ও কারবারিকে সোপর্দ করেছে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালায় র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে ২৩ হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবা। এসব ইয়াবার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা বলে র‌্যাব জানিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াবা কারবারির নাম রোকন মিয়া (৩২)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার বুল্লা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। চকরিয়া থানা পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, কক্সবাজার থেকে ইয়াবার এই চালানটি সংগ্রহের পর তা ঢাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে এস এ পরিবহন চকরিয়া শাখায় বুকিং দেওয়া হয়। ইয়াবাভর্তি ওই প্যাকেটের আবরণে ছিল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীসহ নানা প্রসাধনী সামগ্রী। অপরদিকে ইয়াবা কারবারি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে চেপে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। এই খবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেয়ে র‌্যাব চট্টগ্রামের একটি দল চকরিয়া কিচেন মার্কেটের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করলে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস থেকে একজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় তাকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তিমতে এস এ পরিবহনের পার্সেল বহনকারী কাভার্ড ভ্যানটিতেও তল্লাশি চালায়। এ সময় জব্দ করা হয় ইয়াবার চালানটি। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, ইয়াবার বড় চালানসহ গ্রেপ্তারকৃত রোকন মিয়া স্বীকার করেছেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কায়দায় ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলাম জানান, এস এ পরিবহনের পার্সেল বহনকারী কাভার্ড ভ্যান থেকে ইয়াবা উদ্ধার এবং ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে র‌্যাবের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দিলে তা মামলা রুজু করা হয়।